যাচ্ছেতাই অবস্থা খুলনার ট্রাফিক ব্যবস্থায়

Passenger Voice    |    ০৪:৪৭ পিএম, ২০২৪-০২-২২


যাচ্ছেতাই অবস্থা খুলনার ট্রাফিক ব্যবস্থায়

এনালগ পদ্ধতিতে হাত বা লাঠির ইশারায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে খুলনা নগরীর ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থা। নগরীর ১৬টি পয়েন্টে সিগন্যাল বাতি থাকলেও ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে সব অকেজো। ফলে নগরীতে বাড়ছে যানজট। সেই সঙ্গে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। নাগরিক নেতারা বলছেন, পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের অভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থায় আধুনিকতার সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী।

প্রতিদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে খুলনা নগরী। আর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহনের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। যানবাহন চলাচল আরও সুশৃঙ্খল করতে ১৯৮৭ সালে খুলনা নগরীর ১৬টি পয়েন্টে স্থাপন করা হয় সিগন্যাল বাতি। কিন্তু সংস্কারের অভাবে একে একে নগরীর ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস, শিববাড়ি মোড়, পাওয়ার হাউস মোড়, ফেরিঘাটসহ সব সিগন্যাল বাতি নষ্ট হয়ে যায়।

সর্বশেষ ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিগন্যালগুলো মেরামত, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধসহ দেখভাল করেছে সিটি কর্পোরেশন। এরপর গত ১৭ বছরে সংস্কার বা নতুন করে সিগন্যাল বাতি স্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সিগন্যাল বাতি না থাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে। অনেক সময় হাতের ইশারা না মেনেই চলে যায় যানবাহন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট চন্দন দাস বলেন, বেশি সমস্যা দেখা দেয় রাতে বেলা। তখন চালকরা হাতের ইশারা খেয়াল করেন না। অটোমেটিক সিগন্যাল সিস্টেম থাকলে যানজট ও ছোট-বড় দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, ‘খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়হীনতা এবং উদ্যোগের অভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থায় আধুনিকতার সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে ট্রাফিক সিগন্যাল লাইটগুলো। আমাদের দাবি থাকবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত বিষয়টি আমলে নিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট আধুনিকরণ করার বিষয় সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিআরটিএ, সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত এর সমাধান করা হবে।’ এদিকে সমস্যা সমাধানে পুলিশ যৌথ উদ্যোগের কথা বললেও পরিকল্পনা নেই সিটি কর্পোরেশনের। 

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা আধুনিকরণের কোনো পরিকল্পনা নেই, সিটি কর্পোরেশনের। তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ যদি চায় সিটি কর্পোরেশন সব ধরনের সহযোগিতা করবে। খুলনা মহানগরীতে বর্তমানে ৫২টি পয়েন্টে এক সাথে ১২০ জন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন।